জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে লাঠিখেলা, মোরগ লড়াই ও পুতুল নাচের আয়োজন করা হয়েছে।
রোববার (৫ মার্চ) বেলা পাঁচটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির আয়োজনে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ্যের তালে তালে নেচে নেচে লাঠি খেলে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে লাঠিয়ালরা। খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে লাঠি যুদ্ধে লিপ্ত হয়। লাঠি দিয়ে অন্যের আক্রমণ ঠেকাতে থাকেন। আর এরই মধ্যে নিজের চেয়ে বড় লাঠি নিয়ে অদ্ভুত সব কসরত দেখিয়ে উপস্থিত সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন লাঠিয়ালরা।
লাঠিখেলার খেলোয়াড় শাহ আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘লাঠিখেলাটি অনেক পুরাতন খেলা। আমরা এটি ধরে রাখতে চাই। আমরা এখানে আসছি আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ সমিতির আয়োজনে। বাপ-দাদারা এই খেলা আমাদের শিখিয়ে গেছেন। তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনও খেলে যাচ্ছি। তবে নতুন প্রজন্ম এই খেলাটি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।’
আরেক লাঠিয়াল রহিম মিয়া বলেন, ‘লাঠি খেলা সবসময় থাকে না। তাই অন্য পেশায় নিজেকে যুক্ত করেছি। তারপরেও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য রক্ষায় কেউ দাওয়াত করলে কাজ ফেলেই চলে আসি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম আরাফাত  বলেন, ‘আমরা দেশের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই লক্ষ্যে পুতুল নাচ, লাঠিখেলা, মোরগ লড়াই এবং লোক সংগীতের আয়োজন করার চেষ্টা করেছি। আমরা চাই বাঙ্গালী সংস্কৃতি সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ৫ আসনের এমপি এবাদুল করীম বুলবুল, আরমা দত্ত এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক আলমগীর কবীর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ‘তিতাসের স্রোতধারায়, সূরের মূর্ছনায়, এসো মিলিত হই সংস্কৃতির আঙিনায়’ শ্লোগানে তিতাস উৎসব ও পুনর্মিলনী উৎসব উপলক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়। দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানে আরো রয়েছে আনন্দ র‌্যালী, পুতুল নাচ, বাউল শামসেল হক চিশতী ও তার দলের গান পরিবেশনা, ব্যান্ড শিরোনামহীনের গান পরিবেশনা এবং গুনীজন সম্মাননা ও আলোচনা সভা।